আর রসুল কোন কাজ জীবনে এক দুইবার করলে সেটা রসুলের আদর্শ হয় না। সহিহ হাদীসে আছে রসুল দাড়িয়ে পেশাব করেছেন ( একবার - একটা বর্ননাই এসেছে ), সেটা আদর্শ হয় নি । ইসলামী আন্দোলনের স্বার্থে কি দাড়িয়ে পেশাব করা চালু করতে হবে ? সেটা রসুলের আদর্শ হবে না মউদুদীর আদর্শ হবে ?
রসুলের আদর্শ সেটাই যেটা সাহাবারা গ্রহণ করেছেন । কোন সাহাবী রসুলের গায়েবানা জানাজা পরেন নি, কোন সাহাবার গায়েবানা জানাজাও রসুল ও সাহাবারা পড়েন নি । রসুলের চাচাত ভাই জাফর পালক ছেলে জায়েদ, মুতায় শহিদ হয়েছেন, গায়েবানা জানাজা পড়েন নি ! বীরে মাউনায় ৭০ জন সাহাবী নির্মম ভাবে কাফেরদের হাতে শহীদ হয়, জানাজা পড়ার কেউ ছিল না, রসুল গায়েবানা জানাজা পরেন নি!
গায়েবানা জানাজা জায়েজ না না জায়েজ তা থেকে বড় কথা এটা রসুলের আদর্শ না । আজান দেওয়া রসুলের আদর্শ । আজান ছাড়া নামাজ পড়লে নামাজ হবে, জায়েজ না নাজায়েয সেটা অন্য বিষয় ।
বিশেষ প্রয়োজনে মরা খাওয়া জায়েজ ( জীবনের আশংকা থাকলে), এজন্য কেউ বলবে না মরা খাওয়া ইসলামের আদর্শ। একই ভাবে জায়গা না পেলে মসজিদে জানাজা পড়া জায়েজ, এটা আদর্শ না, সুন্নত না । দাড়িয়ে পেশাব করা প্রয়োজনে জায়েজ, এটা ইসলামের আদর্শ না।
গায়েবানা জানাযা হালাল করতে যারা ফাতওয়া উদগীরণ করছেন? আপনাদের উদ্দেশ্য কী? ইসলাম কায়েম করা ? না রসুলের আদর্শ ধংস করা ? ইসলাম কায়েম করতে কি রসুলের আদর্শ ধংস করা ফরজ ? তবে মৌদুদী ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্য রসুলের আদর্শ ধংস করা ফরজ !
গায়েবানা জানাজাকে নাজায়েজ বলেছেন, মাজহাবের ইমামরা । কেউ কেউ জায়েজ বলেছেন জানাজা না হওয়ার শর্তে । জানাজা পড়ার পরও গায়েবানা জানাজা জায়েজ বলেন নি কেউ ই! বারবার -অবিরত জানাজা কেও জায়েজ বলেন নি কেউ ! অথচ মৌদুদী - কাদের মোল্লা এদের জানাজা বারবার হচ্ছে, গায়েবানা জানাজা বারবার হচ্ছে !
ভাই , আপনি কি রসুলের গায়েবানা জানাজা পড়েছেন ? পড়বেন ?? না শুধু কাদের মোল্লা আর মৌদুদীর জানাজাই গায়েবানা তরীকায় পড়বেন ? ?
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪